,

অভাবই কাল হলো তানিয়ার

নবীগঞ্জে গার্মেন্টসে কাজ করতে

গিয়ে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে

শাহ সুলতান আহমেদ ॥ ১৫ বছরের তানিয়া আক্তার সে স্থানীয় মাদরাসায় ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা-পড়া করেছে। পরিবারের অভাবই তার লেখা-পড়ার বাঁধা হলো। কোন কূল কিনারা না পেয়ে সে গার্মেন্টস এ যোগ দিয়েছে।  গত জানুয়ারি মাসের  ১৫ তারিখে সে কাজে যোগদান করে। গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ তাকে নাম্বার মিলানোর কাজ দিলো। কিন্তু দীর্ঘক্ষন কাজ করা তার পক্ষে সম্ভব হলো না। গতকাল শনিবার  বিকেল সাড়ে ৩ টায় গার্মেন্টেসে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার নবীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দি সংলগ্ন জে,আই,সি স্যুট লিঃ। নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তিকৃত তানিয়া আক্তার (১৫) এর চাচি লুৎফা আক্তার জানান আউশকান্দি ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের সিতার মিয়ার সংসারে ৩ কন্যা ১ পুত্র স্ত্রী ও তিনিসহ সংসারে ৬ সদস্য রয়েছেন। অভাবই তাদের পিছন ধরেছে। কন্যাদের মধ্যে বড় তানিয়া। সে স্থানীয় মাদরাসায় ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত লেখা-পড়া করেছে। পরিবারের সব দিক বিবেচনা করে তানিয়াকে গত জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ জে,আই,সি,স্যুট লিঃ (গার্মেন্টস) এ ভর্তি করা হয়। গার্মেন্টে কর্তৃপক্ষ তাকে দিয়েছেন নাম্বার মিলানোর চাকুরি। কিন্তু অল্প বয়সে তানিয়া কোন মতেই সহ্য করতে পারেনি দীর্ঘক্ষন থাকার কাজ। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় সে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ তাকে তড়িঘড়ি করে পাঠিয়ে দেন নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে যাবার পর চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হবার পরামর্শ দেন। নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর জরুরী বিভাগের ডাক্তার সাইফুল আলম জানান, ওই মেয়ের হাইপেটেনশন বা সাধারণ দূর্বলতা যার দরুন তার প্রেসার কমে গেছে। এজন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তানিয়া জানায়, পরিবারে তাকে নিয়ে ৬ সদস্য রয়েছে। সে স্থানীয় মাদরাসায় ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা-পড়া করেছে। পিতা-মাতার অভাবের কারনে আর লেখা-পড়া করা হলোনা। তাই অল্প বয়সে গার্মেন্টেসের কাজে যোগ দিয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর